Skip to main content

...............:::অভিমান ::




ঘুমিয়ে থেকে বিছানার পাশে হাতড়িয়ে দেখি রিয়া
পাশে নেই।তাই ঘুম ঘুম চোখে তাকে ডাক দিলাম।
অথচ তার কোন সাড়া পেলাম না।তাই বাদ্য হয়ে ঘুম
থেকে উঠতে গেলাম,কিন্তু পারলাম না।শরীরটা
কেমন যেন দুর্বল হয়ে আছে।
তাই আবার শুয়ে পড়লাম এবং রিয়াকে ডাক দিলাম।
নাহ,এবারও কোন সাড়া পেলাম না।
তখনই আমার মনে পড়ল গতকাল রাতের ঘটানাটা।
তাই আর শুয়ে রইলাম না।বাদ্য হয়ে আমাকে উঠতে
হলো।কারণ আমি যদি এখন না উঠি তাহলে হয়তো
আমার অফিস আজ মিস যাবে।
অন্যদিন হলে রিয়াই আমাকে ডেকে তুলে অফিসে
যাওয়ার জন্য তাড়া দিত।
আজ মনে হয় ও নেই।
তাই আমাকেই এখন নাস্তা তৈরি করে খেয়ে অফিসে
যেতে হবে।
ধুরর,কিছুই ভাল্লাগছে না।যাই ফ্রেশ হতে হবে।
আপনাদের মনে হয়তো প্রশ্ন জাগতে পারে,
রিয়াটা কে?কালকে রাতে কি এমন ঘটনা হয়েছে?আর
রিয়া এখন কোথায়?
তাহলে আমি ফ্রেশ হয়ে এসে আপনাদের বলি।
এবার শুনুন,
রিয়া হলো আমার বউ।বড্ড বেশী অভিমানী।গতকাল
রাতে আমার সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়।কথা কাটাকাটির
একপর্যায়ে আমি তার গায়ে হাত তুলি।
যার ফলস্বরুপ উনি অভিমান করে উনার বাবার বাসায় চলে
গেল।
আর যার ফলে সবগুলো কাজ আমি হতভাগাকে করে
অফিসে যেতে হবে।
আর আমার পরিচয়টা হলো,
আমি রাজু।একটা ন্যাশনাল কোম্পানিতে জব করি।বাবা-মা
অনেক আগেই গত হয়েছে।আজ নিজ চেষ্টায় এবং
আল্লাহর সহযোগিতায় এতদুর পর্যন্ত এগিয়ে
এসেছি।
যাইহোক,আমি আপনাদের সাথে কথা বলতে বলতে
অফিসে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে ফেললাম।
শরীরটা কেমন যেন করতেছে।তাই নাস্তা না
করেই অফিসের দিকে রওয়ানা দিলাম।
আপনাদের একটা কথাইতো বলাই হয়নি,,,,
আসলে রিয়াদের বাসাটা আমার বাড়ি থেক হেটে
গেলে পনেরো মিনিটের আর রিক্সায় করে
গেলে সাত-আট মিনিট সময় লাগে।আর আমার অফিসও
রিয়াদের বাসার ওইপাশে।যারফলে রিয়া এই সুযোগটা
ব্যবহার করে।
আমার সাথে কিছু হলেই বাবার বাসায় চলে যায়।
আর অফিস শেষ করে আমাকে সোজা তার বাসায়
গিয়ে তার অভিমান ভাংগিয়ে তাকে সংগে করে বাসায়
ফিরতে হয়।
আর আমি না যাওয়া পর্যন্ত ও কখনো বাসায় ফিরবে না।
এটাই আমার জন্য একটা রুটিন হয়ে গেল।
যাইহোক অবশেষে,আপনাদের সাথে কথা বলতে
বলতে অফিসে পৌছে গেলাম।
শরীরটা কেমন যেন করতেছে।তার উপর এখনও
কিছু খাওয়া হয় নাই।তাই,অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বাসার
উর্দেদেশ্য রওয়ানা দিলাম।
ভাবছিলাম বাসায় যাওয়ার পথে রিয়াকে ফোন দিয়ে
রেডি হয়ে তাদের বাসার গেইটের সামনে দাড়াতে
বলব।কিন্তু তা আর হলোনা।
কারণ,আমি জানি,আমি না যাওয়া পর্যন্ত ও বাসায় আসার জন্য
রেডি হবে না।
আর কিছু না ভেবে আমি রিক্সা নিয়ে সোজা আমার
বাসায় চলে আসলাম।
আজ মনে হয় রিয়াকে আর আনতে যাওয়া হবেনা।
শরীরটা কেমন যেন ভার ভার লাগতেছে।মনে হয়
জ্বর আসবে।তাই আমি কিছু না খেয়েই বিছানায়
শরীরটা এলিয়ে দিয়ে ভাবতে লাগলাম,গতকাল রাতের
ঝগড়ার কথা,
:-এই,,তোমার পাশে বসা মেয়েটা কে ছিল?(রিয়া)
যেই আমি অফিস শেষ করে বাসায় ডুকলাম।তখনই,এই
মহান উক্তিটি করল রিয়া।
আর আমি কিছু না বলে তার পাশ কাটিয়ে রুমে চলে
এলাম।
আপনারাই বলুন,সারাদিন এতো পরিশ্রম করে বাসায়
এসে যদি এইরকম প্রশ্নের সম্মুখিন হন,তাহলে
কেমনটা লাগে।আবার তার উপর শরীরটা ভালো
নেই।
তাই আমি কোন কথা না বাড়িয়ে রুমে চলে এলাম।
রুমে এসে যখনই আমি বিছানায় গা টা এলিয়ে দিলাম,
:-এখন ও আমার প্রশ্নের জবাব টা পেলাম না...(রিয়া)
:-এই,তোমার সমস্যাটা কি,,?হুম।একটু শান্তিতে থাকতে
দিবে না নাকি?আমাকে দেখলে তোমার ঝগড়া
করতে ইচ্ছে হয় নাকি?(আমি)
:-কি?কি বললে?আমি তোমার সাথে ঝগড়া করি?তুমি
অন্য মেয়েদের সাথে আমাদ ফুর্তি করবে আর
আমি কিছু বলতে পারবো না,,,,না জানি আমার অজান্তে
তুমি অন্য মেয়ে,,,,,,,,
:-ঠাসস,,,
আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে তার গালে আমি একটা
থাপ্পড় বসিয়ে দিলাম।
আর ও নির্বাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইল,,,আর
চোখের জল ফেলতে লাগল।
আর আমি ও কিছু না বলে রুম থেকে বাহির হয়ে
গেলাম,,,,,
সোপায় গিয়ে আমি বসে বসে ভাবতে
লাগলাম,"মেয়েটা হয়তো আমায় বেশি
ভালোবাসে,তাই হয়তো আমার পাশে অন্য
মেয়েকে দেখতে পারে না।আর আমি কি না,,?"
"না,আমি ঠিকই করেছি।ওর আমার প্রতি এতটুকুও বিশ্বাস
নেই,,,"
এসকল কিছু ভাবতে ভাবতে রাত প্রায় বারোটা বেজে
গেছিল।তাই আমি রুমে গেলাম ঘুমাতে,,,,
গিয়ে দেখি ও অপর দিকে মুখ করে ঘুমিয়ে
পড়েছে। আমি তাকে যে গালে থাপ্পড়টা মেরেছি
ঐ গালটা লাল হয়ে আছে।আর এখনো ও চোখের
কোন পানি জমে রয়েছে।
আমিও আর কিছু না ভেবে ওর চোখের পানি মুছে
দিয়ে খালি পেটে শুয়ে গেলাম।রিয়া খালি পেটে
ঘুমিয়ে গেছিল।
এরপরের কাহিনীতো আপনারা জানলেনই।
এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি,তা
টেরই পেলাম না।
হঠাত,কারো হাতের স্পর্ষ পেয়ে আমার ঘুম
ভেংগে গেল।চোখের পাতা ভারি হওয়ার কারণে
চোখ খুলতেই পারছিলাম না।
অনেক কষ্টে চোখটা খুললাম।
চোখ খুলেইতো আমি অবাক,,,,
রিয়া এখানে আসলো কি করে,,?
ওরতো এখন ওর বাবার বাসায় থাকার কথা,,,তাহলে??
আমি আর কিছু ভাবতে পারলাম না।কারণ আমার ভাবনার
বিচ্ছেদ ঘটিয়ে,
রিয়া বলল,
:-তোমার কিছু ভাবতে হবে না,,,,এখন উঠো।উঠে
খাবার আর ঔষদ খেয়ে নাও।(রিয়া)
ওর কথার কোন প্রতিউত্তর না দিয়ে আমি তার দিকে
তাকিয়ে আছি।
আর ও আমার মাথায় পরম স্পর্ষে হাত বুলিয়ে
দিতেছে।আর আমি তার হাতের স্পর্ষটা উপভোগ
করতেছি।
ওর মুখের দিকে তাকিয়ে আমার বুকের বামপাশটা
কেমন যেন করে উঠলো।
ওর মুখটা কেমন যেন শুকিয়ে গেছে আর
চোখদুটো কেমন ফুলে রয়েছে আর লাল হয়ে
গেছে।
আমার মনে হলো ও এখনও কিছু খায় নাই,,,,?
আমি আর কিছু না ভেবে সোজা হয়ে উঠে বসলাম।
তখন আমি আমার মাথার পাশে মাথায় জলপট্টিটি সরন্জাম
দেখলাম।তারমানে আমার জ্বর উঠেছে,আর ও
আমার সেবা করছে।
:-তুমি বসো,,,আমি খাবা নিয়ে আসছি,,,(রিয়া এই বলে
আমার পাশ থেকে উঠে যাচ্চিল)
তাই আমি ডাক দিয়ে বললাম,
:-এইই,খাবার কিন্তু একটু বেশি করে আনবা,,,(আমি)
ও মুচকি একটা হাসি দিয়ে গেল।
অতঃপর আমরা একপ্লেটে খাবার খাইতেছি।
ও আমাকে খাইয়ে দিতেছে আর আমি ওকে।
এক মুহুর্তের জন্য আমরা অভিমানের কথাটা ভুলে
গেলাম।
খাওয়া দাওয়া শেষে রিয়া আমাকে ঔষদ খাইয়ে দিলে
আমি শুয়ে পড়লাম।
এর কিছুক্ষন পর রিয়া ও আসল।তাই আমি মুখ খুললাম,
:-রিয়া,,(আমি)
:-হুমম,,,(রিয়া)
:-একটু এদিকে আসতো,,,
এই বলার দেরিতো ও আসতে দেরি নাই।
ও আমার পাশে বসলে,
:-এই,তোমারতো এখন তোমার বাবার বাড়িতে থাকার
কথা,,,(আমি)
:-থাকার কথাছিল ঠিকই,,,কিন্তু নিয়মমাপিক তো তুমি
আমাকে নিয়ে আসার কথা ছিলো।তুমি আনলে না,,,তাই
আমি চলে এলাম।আর
বাসায় এসে দেখি আমাকে না আনার কারণটা হলো তুমি
অসুস্থ।আর তুমিতো আমাকে জানালেই না,,,,
(অভিমানী কন্ঠে কথাগুলো বলল রিয়া)
:-আসলে,,,,
:-থাক আর বলতে হবে না,,,,
:-সরি,,,,(আমি)
:-কেন,,,,?(রিয়া)
:-গতকাল রাতে এমন আচরন করার জন্য,,,,
:-সরিতো আমার বলা উচিত,,,,,
:-কেন?
:-তোমাকে ভুল বুঝার জন্য,,,আসলে আমি তোমার
সাথে কোন মেয়েকেই সহ্য করতে পারি না।আর
গতকাল তোমার সাথে বসা মেয়েটা যে তোমার
অফিসের কলিগ ছিল সেটা তো আমি জানতামই না,,,আর
আজ বাবার বাসায় যাওয়ার সময় ওর সাথে দেখা না হলে
তো জানতেই পারতাম না,তুমি আমায় কি পরিমান ভালোবাস
:-ও তোমাকে সব বলে দিয়েছে নাকি?
:-হুমম,ও এটাও বলেছে তুমি অফিসে আমায় নিয়ে কত
গর্ববোধ কর,আর আমার মত মেয়ে নাকি কার বৌ হওয়া
ভাগ্যের ব্যপার
:-আসলেই,তাই
অতঃপর আর কি,অভিমানের সমাপ্তি এখানেই
শেষ,তবে ভালোবাসার শুরু এখান থেকে।
এখন রিয়া আমার বুকের উপর শুয়ে আছে।আর আমি
ওর চুলে নাক ডুবিয়ে ওর চুল থেকে আসা মন
মাতানো ঘ্রান উপভোগ করতেছি।


Comments

Popular posts from this blog

-------------------: রাগিনী

---ও মাগো এই ভোর বেলা বৃষ্টি এলো কোথা থেকে??? ---বৃষ্টি না আমি পানি ঢালছি। ---ঐ পেত্নী তুই পানি দিলি ক্যান???? ---আমার কলেজে দেরি হয়ে যাচ্ছে, আর তোর অফিসে। ---এই ভোর বেলা আমার মতন মাসুম ছেলের ঘুমের বারটা বাজিয়ে আবার মিথ্যা বলিস পেত্নী। ---এই নে দ্যাখ কয়টা বাজে, আজ যদি আমার কলেজে দেরি হয় না দেখাবনে। আর পেত্নী বলার সাধটা তোলা রইল। ---ও মা, ৯টা বাজে। তুই যা আমি আসছি, নাশতা রেডি কর। তারাতারি বাথরুমে ঢুকলাম, আজ খবর আছে নতুন বস আসছে আজ। আর আজ যদি দেরি হয় খবর আছে। আসুন পরিচয় দিয়ে নিই, আমি শিমুল, আর ঐ পেত্নী নিঝুম, এক মাত্র আদরের বোন, আর বাবা, মা নিয়ে চার জনের ছোট্ট একটা পরিবার। ---ও মা, তারাতারি নাশতা দাও। ---আদ দামড়া ছেলে বেলা করে ঘুমিয়ে এখন আসছে। ---কথা বল না তো। কী রে পেত্নী তুই রেডি তো। ---আমি তোর মতন লেট লতিফ নাকি, আমি রেডি। ---দেখিস তোরে একটা লেট লতিফ মার্কা ছেলে দেখেই বিয়ে দিব। রেডি হয়ে বের হলাম দুই ভাই বোন। আমার অফিস যাবার পথেই ওর কলেজ পরে, তাই একসাথেই নিয়ে যেতে হয়। গল্প করতে করতে ওর কলেজ পৌছে গেছি, ---এই পেত্নী নাম তোর কলেজ চলে আসছি। যা ক্লাসে য...

অবুঝ ভালোবাসার গল্প

----ঠিক এই মুহুর্তে আমাকে এক দল মেয়ে গুন্ডা ঘেরোয়া করে রেখেছে, কি অপরাধ করেছি বা কার পাকা ধানে মই দিয়েছি কিছুই জানিনা।।। কোচিং করে বের হয়ে ফাকা মাঠে বসে গল্পের বই পড়ছি।। ঠিক সেই সময় সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে মেয়েরা হাজির।। আমি ভয়ে ভয়ে বললাম,, __কি বেপার।।। আমাকে ঘেরাও করে কি খুন করার প্লান করা হচ্ছে নাকি?? মেয়েদের সবাই একসাথে বলল,, __ঠিক তা নয়।। তবে আমাদের কথা না শুনলে হয়ত খুন করতেও পারি।। কি সাংঘাতিক বেপার!! এরা খুন করার কথা কত্ত সহজে বলছে।। মনে হচ্ছে খুন করা ওদের কাছে ডালভাত।। যাই হোক আমি বললাম,, __আমাকে কেন এভাবে ঘেরাও করা হয়েছে বলা যাবে কি?? __অবশ্যই বলা যাবে।। আগে আপনি বলুন তো আপনি নিজেকে কি ভাবেন?? সালমান খান?? __খান নয়।। তবে আমার নাম সালমান সাদিক মনে করি।। __সে যেই হোন না কেন। আপনি আমাদের বান্ধবী তিথিকে এভাবে ঘোরাচ্ছেন কেন?? __কিভাবে ঘোরালাম?? __ও তো আপনাকে অনেক পছন্দ করে।। আপনি ওকে পাত্তা দিচ্ছেন না কেন?? __তাহলে এই বেপার।। আপনারা এখন আমার কাছে কি আশা করছেন?? আপনাদের বান্ধবীর কাছে গিয়ে মাফ চেয়ে আসবো?? __জি হ্যা।। আর তাকে তার অধিকার ফিরিয়ে দিন।। __...

কাল ছেলের ভালবাসা............

------- ---এই তুমি ওই মেয়েটার দিকে তাকাচ্ছ কেন???? ---কই কোন মেয়ে, আমি তো কোন মেয়ের দিকে তাকায় নি। ---আমি দেখছি, তুমি তাকাইছো। তুমি আমাকে আর ভালবাস না। ---আরে এখানে ভাল না বাসার কী হল??? ---আমি জানি এখন আর আমাকে ভাল লাগেনা, পুরাতন হয়ে গেছি না। ---মানুষ কী কখন পুরাতন হয় পাগলি???? ---ও এখন মানুষ হয়ে গেলাম আমি। ---আরে কী বলি আর তুমি কী বুজছ??? ---আর বেঝাতে হবে না, আমি বুঝে গেছি। থাক তুমি আমি গেলাম। বলে অভিমানে গাল ফুলিয়ে চলে গেল ইভা। পাগলিটা কী করে না, ছোট খাটো বিষয় নিয়ে একটুতে রেগে যায়। অনেক চেষ্টা করলাম ওকে আটকাতে, কোন লাভ হল না। ওর চলে যাওয়া পথের দিকে অপলক তাকিয়ে রয়েছি। মেয়েটা বড্ড অভিমানি। একটু বেশিই বৈকী...... ও হ্যা, আমি নাঈম, আর যে চলে গেল সে ইভা। আমরা দেশের সনাম ধন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র-ছাত্রী । ও যে আমাকে কি দেখে ভালবাসছিল, একমাত্র ও নিজেই জানে। আমি দেখতে শুনতে খুব একটা ভাল নয়, কালো একটা ছেলে, পারিবারিক অবস্থাও খুব একটা ভাল না। কিন্তু এই মেয়েটি আমাকে প্রথম এসে প্রপজ করে। প্রথমে ওকে ফিরিয়ে দিলেও পরে শুরু হয় ওর পাগলামি। এক সময় ওর...