Skip to main content

কাল ছেলের ভালবাসা............

-------
---এই তুমি ওই মেয়েটার দিকে তাকাচ্ছ
কেন????
---কই কোন মেয়ে, আমি তো কোন মেয়ের দিকে
তাকায় নি।
---আমি দেখছি, তুমি তাকাইছো। তুমি আমাকে
আর ভালবাস না।
---আরে এখানে ভাল না বাসার কী হল???
---আমি জানি এখন আর আমাকে ভাল লাগেনা,
পুরাতন হয়ে গেছি না।
---মানুষ কী কখন পুরাতন হয় পাগলি????
---ও এখন মানুষ হয়ে গেলাম আমি।
---আরে কী বলি আর তুমি কী বুজছ???
---আর বেঝাতে হবে না, আমি বুঝে গেছি। থাক
তুমি আমি গেলাম।
বলে অভিমানে গাল ফুলিয়ে চলে গেল ইভা।
পাগলিটা কী করে না, ছোট খাটো বিষয়
নিয়ে একটুতে রেগে যায়।
অনেক চেষ্টা করলাম ওকে আটকাতে, কোন
লাভ হল না।
ওর চলে যাওয়া পথের দিকে অপলক তাকিয়ে
রয়েছি।
মেয়েটা বড্ড অভিমানি। একটু বেশিই বৈকী......
ও হ্যা, আমি নাঈম, আর যে চলে গেল সে ইভা।
আমরা দেশের সনাম ধন্য একটি
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র-ছাত্রী ।
ও যে আমাকে কি দেখে ভালবাসছিল,
একমাত্র ও নিজেই জানে।
আমি দেখতে শুনতে খুব একটা ভাল নয়, কালো
একটা ছেলে, পারিবারিক অবস্থাও খুব একটা
ভাল না। কিন্তু এই মেয়েটি আমাকে প্রথম
এসে প্রপজ করে। প্রথমে ওকে ফিরিয়ে
দিলেও পরে শুরু হয় ওর পাগলামি। এক সময় ওর
ভালবাসার কাছে হার মানি।
এর পর থেকেই শুরু আমাদের পথচলা.....
অন্য দিকে ইভা বড়লোক বাবার একমাত্র
সন্তান, দেখতে ১০ টা সুন্দরি মেয়ের মাঝে
একটা। কোন অংশেই কম নয়।
কালো বলে তেমন কেও আমার সাথে কথা
বলেনা, বন্ধুত্ব তো যোজন যোজন দুরের কথা।
তবে পড়াশোনায় খুব ভাল বলে অনেকেই পড়া
বুঝে নিতে আসে।
এরকম একদিন ইভা আসে, এর পরে মাঝে মাঝেই
পড়া বোঝার নাম করে আসতে থাকে।
এরকম একদিন ক্যাম্পাসে একটা গাছের নিচে
বসে একটা বই পড়ছিলাম।
কেও একজন সামনে এসে দাঁড়াতেই সেদিকে
লক্ষ করলাম।
একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে।
---হাই আমি ইভা।
হাতটা বাড়িয়ে।
---আমি নাইম।
---তোমার পাশে বসতে পারি????
---অবশ্যই । যে কেও এখানে বসতেই পারে।
---আসলে আমি তেমন একটা ক্লাস করিনা,
পড়াও তেমন জানিনা, আর আমরা একই ক্লাসে
পড়ি তাই এলাম, আমাকে একটু সাহায্য
করবে?????
---সাহায্য ।
---প্লিজ না কর না।
---আমি কি সাহায্য করব????
---তোমার নোট গুলো একটু দিবে???? কয়েক
দিনের মাঝেই ফেরত দিব।
----আচ্ছা কালকে নিও।
---ঠিক আছে।
বলেই মেয়েটি চলে গেল।
পরের দিন আবারে সেখানেই গাছ তলায় বসে
আছি, ইভা এল নোট নিতে। নোট গুলো ওকে
দিয়ে বাসায় চলে এলাম।
এভাবেই নোট আদান প্রদান করতে করতে
আমরা খুব ভাল বন্ধু হয়ে গেলাম।
এখন ইভা আমার সাথেই বেশি সময় কাটায়।
দেকতে দেখতে ইয়ার ফাইনাল পরিক্ষা
দিলাম আমি বরাবরের মতই ভাল করেছি, ইভাও
দেখার মতন রেজাল্ট করছে।
সেদিন খুব খুশি হয়েছিলাম।
এভাবে চলতে চলতে একসময় আমরা বুঝতে
পারি, আমরা বন্ধুর থেকেও বেশি কিছু হয়ে
গেছি।
এক সময় ইভা নিজেই আমাকে প্রপজ করে বসে।
প্রথমে ফিরিয়ে দিই।
কারন আমার মত কাল আনস্মার্ট ছেলের সাথে
ওর যায় না।
ওর জন্য স্মার্ট ড্যাশিং ছেলে চায়।
তবে শেষ পযন্ত বাধ্য হয় ওকে ভালবাসতে।
ফিরিয়ে দেয়ার পরে নানা ধরনের পাগলামি
করতে থাকে, একদিন দেখি ওর হাতে
ব্যান্ডেজ করা। পরে জানতে পারি আমার
জন্য হাত কাটছে।
এর পরে ওর ভালবাসায় সাড়া দেই। শুরু হয়
মিষ্টি প্রেমের অধ্যায়।
নানা মজা, খুনশুটি, মান অভিমান, ঝগড়ার
মধ্যে দিয়ে খুব ভালভাবেই চলছে আমাদের
সম্পর্ক ।
আমাদের দেখে সবাই হিংসায় জ্বলে মরে,
তাতে আমার কিছু যায় আসে না।
ক্যাম্পাসে যত খন থাকতাম সব সময় ইভার
সাথেই থাকতাম।
এতে আমার পড়া শোনায় ক্ষতি হতে লাগল,
ইভা ঘুরতে পছন্দ করে। ওর সাথে ঘুরতে গিয়ে
নিজের পড়াশোনা টা ঠিক মতন করতে
পারছিলাম না। পরের ইয়ারে বেশ খারাপ
রেজাল্ট করলাম, অন্য দিকে আমার থেকে
নোট নিয়ে ইভা খুব ভাল রেজাল্ট করল।
সেদিনও খুব খুশি ছিলাম, কারন ইভা তো ভাল
রেজাল্ট করছে।
পরের দিন ক্যাম্পাসে আসতেই সবচেয়ে বড়
ধাক্কাটা খেলাম, ইভা একটি ছেলের হাত
ধরে ঘুড়ছে। অন্য দিকে আমার দিকেও সবাই
আজ কিভাবে যেন দেখছে। নিজেকে সুন্দর বন
থেকে পালিয়ে আসা কোন প্রানীর মত মনে
হচ্ছে।
সেদিকে পাত্তা না দিয়ে আমি,
ইভার কাছে গেলাম
---এই ইভা, স্বাগতম, ভাল রেজাল্ট করার জন্য।
----তোমাকেও অনেক ধন্যবাদ, নোট গুলোর জন্য

---এনাকে তো ঠিক চিনলাম না।
---আমার বয়ফ্রেন্ড।
কথাটা ঠিক মাথায় ঢুকলো কী না বুঝলাম না।
---মানে????
---হ্যা, আমরা দুজন দুজনকে ভালবাসি ।
কথাটা সুনে যেন আকাশ ভেঙে পরল মাথার
উপর। কী বলে এই মেয়ে, নিশ্চয় ফান করছে
আমার সাথে, আগেও অনেক করছে। বড্ড চঞ্চল
ও রসিক প্রকৃতির মেয়ে।
---ফান করছ???
---এখানে ফান করার কী আছে????
---প্লিজ ফান কর না।
---কীসের ফান??? আমি সিরিয়াস।
---তাহলে আমার সাথে এত দিন যা করলে????
---সেটা ছিল অভিনয়, প্রথমত ওর সাথে বাজি
ধরছিলাম আমি ফাস্ট হয়ে দেখাব, আর
সেজন্য, তোমার সাথে এই অভিনয়টা করলাম,
কারন আমি জানতাম তুমি থাকতে আমি কখনই
ফাষ্ট হতে পারব না। তাই এসব করেছি।
---তাহলে তোমার ভালবাসা, হাত কাটা????
---এই দেখ হাতে কোন কাটা দাগ নেয়, ওটাও
সাজান, সেজন্যই তো সব সময় ফুল হাতা জামা
পড়তাম। যাতে তুমি কখনই হাত দেখতে না পাও।
আর ভালবাসা, তোমার মতন কালো ছেলেকে
কে ভাল বাসবে???? কাল ভুত কোথাকার, কোন
পেত্নীকে দেখে নাও।
কথা গুলো বলে ছেলেটার হাত ধরে চলে গেল।
কথা গুলো শুনে মাটির সাথে মিশে যেতে
ইচ্ছা হল।
সেখান থেকে বাসায় চলে আসি, একেবাড়ে
ভেঙে পরি আমি। একে রেজাল্ট খারাপ করছি,
অন্য দিকে এতবড় ধোকা এক সাথে নিতে
পারছি না।
আমআকে নিয়ে বাবা মায়ের অনেক সপ্ন ছিল,
যা এই মেয়ের জন্য নষ্ট করে দিয়েছি।
আজ এক মাস হল ক্যাম্পাসে যায় না। ঘরের
কোনায় পরে থাকি, বাইরে বের হয় না। হাসি
না, আম্মুকে জ্বালায় না।
খাওয়ার সময় ছাড়া বাইরে কম আসি এখন রুমেই
কাটে সারা দিন।
আব্বু আম্মু খেয়াল করছে ব্যাপারটা, একদিন
সকালের নাশতা করছি আব্বু আম্মুর সাথে আব্বু
বলে উঠল।
---জানিনা তোমার কি হয়েছে, কিছুদিন লক্ষ
করছি তুমি ক্যাম্পাসে যাও না, বাইরে বের হও
না। খালি ঘরের কোনে পড়ে থাক। তোমাকে
নিয়ে আমাদের একটা আশা আছে, সেটা নষ্ট
করে দিও না। জিবন কারো জন্য থেমে থাকে
না। যথেষ্ট বড় হয়েছো, আশা করি নিজের
ভালটা নিজেই বুঝবে।
নাশতা শেষ করে নিরবে রুমে চলে আসি।
ভাবতে থাকি আব্বু আম্মুর কথা, একটা মেয়ের
জন্য তাদের কেন কষ্ট দিব, আশা নষ্ট করব???
যে মা দশ মাস দশ দিন পেটে ধরল, যে বাবা
হাতে ধরে চলতে শেখাল তাদের কিভাবে কষ্ট
দিব????? একটা মেয়ে ধোকা দিয়েছে বলেই
কী তাদের সব আশা নষ্ট করে দিব?????
না কখনই হতে দিব না, যে মানুষ গুলো আমাকে
ঘিরে বেঁচে আছে তাদের অবলম্বন টুকি কেড়ে
নিতে পারব না আমি।
হ্যা কাল থেকে আবার নতুন করে শুরু করব।
একবার হোচট খেয়েছি বলে জিবন তো থেমে
থাকবে না, উঠে দাঁড়াব আমি, আমাকে উঠে
দাঁড়াতেই হবে।
পরের দিন হতে আবার আগের সেই নাঈম ফিরে
এসেছে, ক্যাম্পাসে আসলেই নানা জনের
নানা কটু কথা শুনতে হয়, বিভিন্ন জন বিভিন্ন
কথা বলে, সেদিকে আমার খেয়াল নেয়।
আমার একটাই লক্ষ বাবা মায়ের সপ্ন পুরন।
দেখতে দেখতে তৃতীয় বর্ষের ফাইনাল চলে
এলো। ভাল করে সব পরিক্ষা দিলাম,
যথারিতি খুব ভাল রেজাল্ট করলাম। অন্য
দিকে ইভা আগের মতই রেজাল্ট করছে। মাঝে
আমার নোট গুলো নিয়ে ভাল করছিল।
সামনে আমাদের ফাইনাল ইয়ার পরিক্ষা
আসছে, ভাল ভাবেই পড়া শোনা চালিয়ে
যাচ্ছি, আব্বু আম্মু খুব খুশি আমার পরিবর্তনে।
নিজের কাছেও এখন খুব ভাল লাগছে, বাবা
মায়ের মুখে খুশির ঝলক দেখে।
কিছু দিন ধরে লক্ষ করছি ইভা আমার আস
পাশে ঘুরছে।
উড়ো খবর পেলাম ওই ছেলের সাথে রিলেসন
ব্রেকআপ হয়ছে।
একদিন ক্যাম্পাসে থেকে বের হচ্ছি, পেছন
থেকে কে যেন ডাকছে, ফিরে দেখি ইভা।
আর না দাঁড়িয়ে সেখান থেকে চলে এলাম।
পরের দিন ক্যাম্পাসের গেট দিয়ে ঢুকব এমন
সময় কোথা হতে ইভা সামনে এসে দাঁড়াল।
টানতে টানতে সেই গাছের নিচে নিয়ে এল,
যে খানটা থেকে শুরু হয়েছিল আমাদের সেই
পথ চলা.....
---নাঈম আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমি আসলে
খুব অনুতপ্ত, আমি আসলেই তোমাকে খুব
ভালবাসি । আমাকে বিশ্বাস কর।
---হু বিশ্বাস???? বিশ্বাসের মা গলায় দড়ি
দিছে, আর ভালবাসা, তোমার মত মেয়ে
ভালবাসার কি বুঝো তুমি???
আমি দেখতে কালো হলেও আমিও মানুষ,
আল্লাহ বোঝার ক্ষমতা দিয়েছে, বিচার
করার ক্ষমতা দিয়েছে, নিজের মতই কাওকে
খুজে নিব, তুমিও নিজের মত কাওকে খুজে
নাও। ভাল থেকো।
ন্যাড়া বেল তলাই একবারই যায়। যে ভুলটা
তোমাকে ভালবেসে করেছিলা, সেই একই ভুল
তোমাকে পুনরায় বিশ্বাস করে সেটা আবার
করতে চাইনা। এখন বাবা মায়ের সপ্ন ছাড়া
আমার কোন লক্ষ নেয়। তুমি তোমার পথে চল,
আর আমি আমার পথে......
বলেই চলে এলাম।
এর পর একে একে দিন গুলো পার হতে লাগল,
পরিক্ষা শেষ অপেক্ষার প্রহর শেষ করে
রেজাল্ট পেলাম । মাঝের টা বাদ দিলে
অনেক ভাল হতে পারত। তবে আপসোস নেই।
আল্লাহ যা করেন ভালর জন্যই করেন। তা না
হলে, ইভা আরো কিছু দিন আমার সাথে
থাকলে আরো খারাপ কিছু হতে পারত।
ভাল রেজাল্ট জন্য সহজেই একটা চাকরি
পেয়ে গেলাম।
যদিও বাবার জন্যই চাকরিটা এত তারাতারি
পেলাম।
বাবা মা বিয়ের জন্য মেয়ে দেখছে, বিয়ের
দিন তারিখ ও ঠিক করা হয়ে গেছে, সামনে
সপ্তাই আমার বিয়ে।
মেয়েটা নাকি সবব জেনে রাজি হয়েছে ।
আমার সাথেও কথা হয়ছে, শুধু দেখাটা বাকী,
সেটা না হয় বাসর রাতেই হবে.........
পরে আর ইভার কোন খোজ পাইনি, চেষ্টাও
করিনি।
ওদের মত মেয়েদের খোজ নিতেও হয়না......


Comments

Popular posts from this blog

-------------------: রাগিনী

---ও মাগো এই ভোর বেলা বৃষ্টি এলো কোথা থেকে??? ---বৃষ্টি না আমি পানি ঢালছি। ---ঐ পেত্নী তুই পানি দিলি ক্যান???? ---আমার কলেজে দেরি হয়ে যাচ্ছে, আর তোর অফিসে। ---এই ভোর বেলা আমার মতন মাসুম ছেলের ঘুমের বারটা বাজিয়ে আবার মিথ্যা বলিস পেত্নী। ---এই নে দ্যাখ কয়টা বাজে, আজ যদি আমার কলেজে দেরি হয় না দেখাবনে। আর পেত্নী বলার সাধটা তোলা রইল। ---ও মা, ৯টা বাজে। তুই যা আমি আসছি, নাশতা রেডি কর। তারাতারি বাথরুমে ঢুকলাম, আজ খবর আছে নতুন বস আসছে আজ। আর আজ যদি দেরি হয় খবর আছে। আসুন পরিচয় দিয়ে নিই, আমি শিমুল, আর ঐ পেত্নী নিঝুম, এক মাত্র আদরের বোন, আর বাবা, মা নিয়ে চার জনের ছোট্ট একটা পরিবার। ---ও মা, তারাতারি নাশতা দাও। ---আদ দামড়া ছেলে বেলা করে ঘুমিয়ে এখন আসছে। ---কথা বল না তো। কী রে পেত্নী তুই রেডি তো। ---আমি তোর মতন লেট লতিফ নাকি, আমি রেডি। ---দেখিস তোরে একটা লেট লতিফ মার্কা ছেলে দেখেই বিয়ে দিব। রেডি হয়ে বের হলাম দুই ভাই বোন। আমার অফিস যাবার পথেই ওর কলেজ পরে, তাই একসাথেই নিয়ে যেতে হয়। গল্প করতে করতে ওর কলেজ পৌছে গেছি, ---এই পেত্নী নাম তোর কলেজ চলে আসছি। যা ক্লাসে য...

অবুঝ ভালোবাসার গল্প

----ঠিক এই মুহুর্তে আমাকে এক দল মেয়ে গুন্ডা ঘেরোয়া করে রেখেছে, কি অপরাধ করেছি বা কার পাকা ধানে মই দিয়েছি কিছুই জানিনা।।। কোচিং করে বের হয়ে ফাকা মাঠে বসে গল্পের বই পড়ছি।। ঠিক সেই সময় সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে মেয়েরা হাজির।। আমি ভয়ে ভয়ে বললাম,, __কি বেপার।।। আমাকে ঘেরাও করে কি খুন করার প্লান করা হচ্ছে নাকি?? মেয়েদের সবাই একসাথে বলল,, __ঠিক তা নয়।। তবে আমাদের কথা না শুনলে হয়ত খুন করতেও পারি।। কি সাংঘাতিক বেপার!! এরা খুন করার কথা কত্ত সহজে বলছে।। মনে হচ্ছে খুন করা ওদের কাছে ডালভাত।। যাই হোক আমি বললাম,, __আমাকে কেন এভাবে ঘেরাও করা হয়েছে বলা যাবে কি?? __অবশ্যই বলা যাবে।। আগে আপনি বলুন তো আপনি নিজেকে কি ভাবেন?? সালমান খান?? __খান নয়।। তবে আমার নাম সালমান সাদিক মনে করি।। __সে যেই হোন না কেন। আপনি আমাদের বান্ধবী তিথিকে এভাবে ঘোরাচ্ছেন কেন?? __কিভাবে ঘোরালাম?? __ও তো আপনাকে অনেক পছন্দ করে।। আপনি ওকে পাত্তা দিচ্ছেন না কেন?? __তাহলে এই বেপার।। আপনারা এখন আমার কাছে কি আশা করছেন?? আপনাদের বান্ধবীর কাছে গিয়ে মাফ চেয়ে আসবো?? __জি হ্যা।। আর তাকে তার অধিকার ফিরিয়ে দিন।। __...